দেশজুড়ে প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণের বিস্তার রোধে বাংলা নববর্ষের সব অনুষ্ঠান বন্ধ রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন। পাশাপাশি চলমান করোনা পরিস্থিতিতে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির মেয়ার সীমিত আকারে বাড়ানোরও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) সকালে দেশের ৬৪ জেলার সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেন।
এদিন সকাল ১০টায় এ ভিডিও কনফারেন্স শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হন।
করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় গত ২৬ মার্চ থেকে দেশে সরকারি-বেসরকারি সব অফিসে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। চলবে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ছুটি দিয়েছিলাম, হয়তো আমাদের আরও কয়েকদিন একটু বাড়াতে হতে পারে। কারণ যারা অনেকে গ্রামে চলে গেছেন, সেখানে কোনও রকম আবার এই রোগের প্রার্দুভাব দেখা না দেয়, সেই সময়টা হিসেব করে ছুটি বাড়াতে হচ্ছে। আমরা ১০/১২ দিনের ছুটি দিয়েছিলাম। এটা ১৪ দিন পর্যন্ত হতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘২৬ মার্চ থেকে ছুটি ছিল আমাদের। কিন্তু কোয়ারেন্টাইন কত তারিখ পর্যন্ত হবে? ৯ এপ্রিল পর্যন্ত। তাহলে বোধহয় আমাদের এই ছুটিটাও সীমিত আকারে বাড়াতে হবে।’
সরকারপ্রধান আরও বলেন, ‘নববর্ষের অনুষ্ঠান আমরাই শুরু করেছিলাম। কিন্তু তাও আমাদের বন্ধ রাখতে হচ্ছে। মানুষের কল্যাণেই এ অনুষ্ঠান না করার অনুরোধ আপনাদের।’
ভিডিও কনফারেন্সে দেশের ৬৪ জেলার জেলা প্রশাসকেরা তাদের নিজ নিজ জেলার করোনা মোকাবিলায় প্রস্তুতি ও পরিস্থিতি তুলে ধরছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। তাদের পরিস্থিতি বর্ণনার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন পরামর্শও দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) এর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত মোট রোগীর সংখ্যা ৪৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ৫ জন। অর্থাৎ আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার প্রায় ১০ দশমিক ৪ শতাংশ। সুস্থ হয়েছেন ১৯ জন। চিকিৎসাধীন আছেন ২৫ জন। এখন পর্যন্ত মোট ১ হাজার ৩৩৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।